নবজাতক শিশুর পেটে ব্যথা হলে করণীয়


নবজাতক শিশুর পেটে ব্যথা হলে করণীয় এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব নবজাতক শিশুর পেটে ব্যথা হলে করণীয় আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন নবজাতক শিশুর পেটে ব্যথা হলে করণীয় শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।
নবজাতক শিশুর পেটে ব্যথা হলে করণীয়
নবজাতক শিশুর পেটে ব্যথা হলে করণীয়

এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে নবজাতক শিশুর পেটে ব্যথা হলে করণীয় সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না

বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

বাচ্চাদের পেট ব্যথা কমানোর জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় নিচে দেওয়া হলো:

১। গরম পানির সেঁক:

একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পেটের উপরে হালকা সেঁক দিন। এটি পেটের পেশি শিথিল করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

২। জিরা পানি:

১ চা চামচ জিরা এক গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। জিরা হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস কমায়।

৩। আদা ও মধু :

সামান্য আদার রসের সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। এটি পেট ব্যথা কমাতে কার্যকর।

৪। তুলসী পাতা:

কিছু তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে দিন বা তুলসী পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি বাচ্চাকে খাওয়ান। এটি পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৫। গরম মসলা চা:

দারুচিনি, এলাচ এবং লবঙ্গ একসাথে পানিতে ফুটিয়ে চা তৈরি করুন। সামান্য মধু মিশিয়ে এটি খাওয়াতে পারেন।

৬। হিং (হিংগুল):

এক চিমটি হিং এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে বাচ্চার পেটে হালকা করে ম্যাসাজ করুন। এটি গ্যাস এবং পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৭। পুদিনা পাতা:

পুদিনা পাতা পেস্ট করে সামান্য পানি মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। এটি পেটের পেশি শিথিল করে এবং গ্যাস কমায়।

৮। লেবুর রস:

লেবুর রসের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান। এটি হজমে সহায়ক এবং পেটের ব্যথা কমাতে কার্যকর।

৯। আপেল সিডার ভিনেগার:

এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। এটি হজমে সহায়তা করে এবং পেট ব্যথা কমায়।

১০। ছোট এলাচ:

ছোট এলাচ ভেঙে বাচ্চাকে চিবিয়ে খাওয়াতে পারেন বা গরম পানিতে ফুটিয়ে এলাচের চা তৈরি করে পান করাতে পারেন। এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেট ব্যথা উপশমে কার্যকর।

এগুলো সবই প্রাথমিক ঘরোয়া উপায়, তবে যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে করণীয় :

নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে কিছু করণীয় বিষয় নিচে দেওয়া হলো:

১। বাচ্চাকে সোজা করে দুধ খাওয়ানো:

নবজাতককে সোজা করে বুকের দুধ বা ফিডার খাওয়ালে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

২। পিঠে আলতো করে চাপ দিন :

দুধ খাওয়ানোর পর নবজাতককে কাঁধে তুলে পিঠে আলতো করে চাপ দিন। এতে গ্যাস বেরিয়ে আসবে।

৩। বেবি ম্যাসাজ:

নবজাতকের পেটে হালকা ম্যাসাজ করতে পারেন। ঘড়ির কাঁটার দিকে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করলে গ্যাস বেরিয়ে যেতে পারে।

৪৷ বাইসাইকেল ব্যায়াম:

নবজাতকের পা দুটোকে আস্তে আস্তে বাইসাইকেল চালানোর মতো করে নড়াচড়া করান। এতে পেটে জমে থাকা গ্যাস সহজে বেরিয়ে আসতে পারে।

৫। গরম পানির ব্যাগ:

খুব হালকা গরম পানির ব্যাগ পেটে দিয়ে কিছুক্ষণ রাখতে পারেন। এতে আরাম বোধ করবে এবং গ্যাস সহজে মুক্তি পেতে পারে।

৬৷ সঠিক বোতল নির্বাচন:

যদি শিশুকে ফিডারে দুধ খাওয়ানো হয়, তবে এমন বোতল ব্যবহার করুন যেটি থেকে দুধ বের হওয়ার সময় বাতাস ঢোকার সুযোগ কম থাকে। এতে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

৭। খাওয়ানোর সময় বিরতি নিন:

দুধ খাওয়ানোর সময় মাঝেমধ্যে বিরতি নিন এবং নবজাতককে সোজা অবস্থায় রেখে পিঠে হালকা চাপ দিন যাতে গ্যাস বেরিয়ে যেতে পারে।

৮ মডায়েট পরিবর্তন :

যদি নবজাতক বুকের দুধ খায়, তবে মায়ের খাবারের দিকে নজর দিন। কিছু খাবার (যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, পেঁয়াজ) শিশুর পেটে গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। প্রয়োজনে মায়ের খাদ্য তালিকা থেকে এসব বাদ দিন।

৯। সঠিক সময়ে খাওয়ান :

নবজাতক খুব ক্ষুধার্ত হলে তাড়াহুড়ো করে দুধ খাওয়ার সময় বাতাস গিলে ফেলতে পারে। তাই ক্ষুধার্ত হওয়ার আগেই শিশুকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।

১০। বায়ুরোধী পজিশনে রাখুন:

নবজাতককে মুখ নিচের দিকে দিয়ে কোলের ওপর শোয়াতে পারেন এবং পিঠে হালকা চাপ দিন। এটি বায়ুরোধে সহায়ক হতে পারে।

১১। ডাক্তারের পরামর্শ নিন:

যদি গ্যাসের সমস্যা নিয়মিত হয়, বমি, জ্বর বা ওজন না বাড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়, তবে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

এভাবে ধৈর্য ধরে এবং যত্ন সহকারে নবজাতকের গ্যাসের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

শিশুর পেটে ব্যথার লক্ষণ

শিশুর পেটে ব্যথার লক্ষণগুলো সাধারণত শিশুর বয়স এবং ব্যথার কারণের ওপর নির্ভর করে। কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:

১। বারবার কান্নাকাটি করা:

শিশু অস্বাভাবিকভাবে কান্নাকাটি করলে পেটে ব্যথা হতে পারে।

২। খাবারের প্রতি অনীহা:

খাওয়ার সময় খেতে না চাওয়া বা খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া।

৩। পেট ফুলে যাওয়া:

পেট ফোলা দেখা দিলে এটি পেটে গ্যাস বা কোনো সমস্যা হতে পারে।

৪। পেটের স্পর্শে অস্বস্তি:

পেটে হাত দিলে যদি শিশু কাঁদে বা অস্বস্তি বোধ করে।

৫। বমি বা বমিভাব:

পেটে ব্যথার সঙ্গে বমি বা বমিভাব দেখা দিলে এটি গুরুতর হতে পারে।

৬৷ ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য:

যদি পেটে ব্যথার পাশাপাশি ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।

৭। জ্বর :

পেটে ব্যথার সঙ্গে জ্বর থাকলে ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে।

এই লক্ষণগুলো থাকলে অবশ্যই একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৫ বছরের বাচ্চাদের পেটে ব্যথা হলে করণীয় :

৫ বছরের বাচ্চার পেটে ব্যথা হলে করণীয় পদক্ষেপগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:

১। ব্যথার কারণ নির্ধারণ করা:

অন্য লক্ষণ: দেখুন, বাচ্চার পেটে ব্যথার সাথে কি অন্য লক্ষণ আছে, যেমন বমি, ডায়রিয়া, জ্বর বা ক্ষুধামন্দা।

সক্রিয়তা: ব্যথার কারণে বাচ্চা কি খেলার ইচ্ছা হারিয়েছে? যদি না খেলতে পারে, তাহলে তা গুরুতর হতে পারে।

২। বিশ্রাম ও সান্ত্বনা:

বিশ্রাম: বাচ্চাকে শান্ত একটি জায়গায় বিশ্রাম করতে দিন।

অতিসক্রিয়তা থেকে বিরত রাখুন: তাঁকে বেশি দৌড়াতে বা খেলতে না দেয়ার চেষ্টা করুন।

৩। পানীয় এবং খাবার:

পানির পরিমাণ: ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধের জন্য পর্যাপ্ত পানি নিশ্চিত করুন।

হালকা খাবার: বাচ্চাকে হালকা খাবার যেমন স্যুপ, খিচুড়ি, অথবা সেদ্ধ সবজি খেতে দিন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা ঝাল খাবার থেকে বিরত থাকুন।

৪। গরম সেঁক:

গরম সেঁক: গরম পানিতে ভিজানো কাপড় দিয়ে পেটে সেঁক দিতে পারেন, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

৫। ঘরোয়া প্রতিকার:

আদা বা পুদিনার চা: আদা বা পুদিনা চা হজমে সাহায্য করতে পারে। ছোট পরিমাণে দিতে পারেন।

গ্যাসের জন্য: যদি গ্যাসের কারণে সমস্যা হয়, তাহলে সুকনো রুটি বা কলা খেতে দিন।

৬। ডাক্তারের সাথে পরামর্শ:

সোজাসুজি ডাক্তার: যদি ব্যথা অব্যাহত থাকে, বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে বা গুরুতর লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

রোগ ইতিহাস: ডাক্তারকে বাচ্চার রোগ ইতিহাস, চলতি ওষুধের তালিকা এবং পূর্বে হওয়া সমস্যাগুলো জানান।

৭। চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি:

ডাক্তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট: ডাক্তার যদি পরীক্ষার জন্য বলেন, তাহলে তা দ্রুত করতে প্রস্তুত থাকুন।

পরীক্ষার প্রয়োজন: ডাক্তারের নির্দেশে পেটে আলট্রাসনোগ্রাম বা অন্যান্য পরীক্ষাও করতে হতে পারে।

এগুলো বাচ্চার পেটে ব্যথা হলে নিতে পারেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, যদি কোন শঙ্কা থাকে তাহলে ডাক্তারকে দেখানো সর্বদা উত্তম।

সিজারের পর পেটে গ্যাস হলে করণীয় :

সিজারের পর পেটে গ্যাস হলে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:

১। হালকা ব্যায়াম :

হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এতে পেটের গ্যাস বের হতে সাহায্য করবে।

২। গরম পানির বোতল :

পেটে গরম পানির বোতল বা তাপ প্রয়োগ করলে আরাম পাবেন।

৩। মশলাদার খাবার এড়ানো :

খাবারে মশলা, তৈল বা টকজাতীয় খাবার কম খান।

৪৷ চা বা ডেজার্ট :

পুদিনার চা বা আদা চা উপকারী হতে পারে।

৫। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম :

গভীর শ্বাস নিন এবং কিছুক্ষণ ধরে রাখুন।

৬। পেট ম্যাসাজ :

হালকা হাতে পেট ম্যাসাজ করলে গ্যাস মুক্ত হতে সাহায্য করতে পারে।

৭। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার :

আঁশযুক্ত খাবার, যেমন ফল ও সবজি খান, যা হজমে সহায়ক।

৮। পানিশূন্যতা এড়ানো :

পর্যাপ্ত জল পান করুন। তবে খাবারের সঙ্গে খুব বেশি পানি খাওয়া এড়ানো উচিত।

৯। সোজা হয়ে বসুন :

সোজা হয়ে বসলে পেটের চাপ কমে এবং গ্যাস বের হতে সাহায্য হয়।

১০। সেলফ কেয়ার :

স্ট্রেস কমানোর জন্য মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম করতে পারেন।

১১। সঠিক পজিশন :

ঘুমানোর সময় হাঁটু তুলে সুয়ে থাকলে গ্যাস কম হতে পারে।

১২। আলদা ও জিরা:

খাবারে একটু আলদা বা জিরা যোগ করা উপকারী হতে পারে।

১৩। হালকা স্যুপ :

সবজির স্যুপ বা হালকা ব্রথ খেতে পারেন, যা সহজে হজম হয়।

১৪। ফলমূল :

পাকা কলা, আপেল বা তরমুজ খেলে হজমে সহায়তা পেতে পারেন।

১৫। হাতের ও পায়ের ব্যায়াম :

হাত ও পায়ের হালকা ব্যায়াম করতে পারেন, যা শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে।

১৬। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স :

ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার হজমে সাহায্য করে, তাই এগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন।

১৭। হালকা নাস্তা :

বেশি ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন; বরং হালকা ও সহজে হজমযোগ্য খাবার খান।

১৮। নিয়মিত সময়ে খাবার :

খাবার খাওয়ার সময় নির্দিষ্ট রাখলে হজমের প্রক্রিয়া ভালো হয়।

যদি সমস্যা চলতে থাকে বা আরও গুরুতর কিছু অনুভব করেন, দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

৮ বছরের বাচ্চাদের পেটে ব্যথা হলে করণীয়

৮ বছরের বাচ্চাদের পেটে ব্যথা হলে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:

১। আরাম করুন :

বাচ্চাকে শুইয়ে দিন এবং আরাম করতে বলুন।

২। দ্রুত খাবার এড়ান :

কিছুক্ষণ খাবার থেকে বিরত রাখুন, বিশেষ করে মশলাদার বা তৈলাক্ত খাবার।

৩। গরম সেঁকা :

পেটের নিচে গরম পানির বোতল বা তাপ প্রয়োগ করুন, যা আরাম দেয়।

৪। হালকা পদার্থ :

পানিতে কাঁপানো চা বা হালকা স্যুপ খাওয়াতে পারেন।

৫। গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ :

যদি গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ থাকে, হাঁটতে বলুন বা পেট ম্যাসাজ করুন।

৬৷ শান্তির পরিবেশ :

ভয় বা উদ্বেগ কমানোর জন্য শান্ত পরিবেশ তৈরি করুন।

৭। সতর্কতা :

যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়, বা বাচ্চার বমি, জ্বর, বা অন্য গুরুতর লক্ষণ থাকে, তাত্ক্ষণিকভাবে ডাক্তারকে দেখান।

৮। পুষ্টিকর খাবার :

হালকা ও সহজে হজমযোগ্য খাবার যেমন দুধ, চিড়া বা ফ্রুট সুদি দিতে পারেন।

৯। জল পানের উপর নজর :

পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ানো নিশ্চিত করুন, তবে একসাথে বেশি না।

১০। ব্যায়াম :

যদি সম্ভব হয়, কিছু হালকা শরীরচর্চা করতে বলুন, যেমন হাঁটাহাঁটি।

১১। মনোযোগ দিন :

বাচ্চার সঙ্গে কথা বলুন এবং তার অনুভূতি জানুন। এটি তার উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করবে।

১২। স্বাস্থ্যবিধি :
বাচ্চার খাদ্যাভ্যাস ও জীবনশৈলীর দিকে নজর রাখুন, যাতে ভবিষ্যতে সমস্যা এড়ানো যায়।

১৩। ফাইবার :

যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, তবে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার যেমন ফল ও সবজি যুক্ত করুন।

১৪। চিনি ও ফ্যাট কমান :

খাবারে অতিরিক্ত চিনি ও চর্বি এড়ানো ভালো।

১৫। গরম পানির স্নান :

গরম পানিতে স্নান করতে দিলে স্বস্তি অনুভব করতে পারে।

১৬। পর্যবেক্ষণ :

ব্যথার ধরন ও স্থায়িত্ব লক্ষ্য করুন। যদি এটি তীব্র হয় বা অস্বাভাবিক লক্ষণ থাকে, তৎক্ষণাত চিকিৎসকের কাছে যান।

যদি সমস্যা বাড়ে বা নতুন লক্ষণ দেখা দেয়, ডাক্তারকে দেখানো উচিত।নবজাতক শিশুর পেটে ব্যথা হলে করণীয় :

নবজাতক শিশুর পেটে ব্যথা হলে করণীয়

নবজাতক শিশুর পেটে ব্যথা হলে নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে:

১। শিশুকে আরামদায়কভাবে ধরুন:

পেটের ব্যথা হলে শিশুকে কোলে নিয়ে হালকা করে পিঠে ঘষুন বা বুকের কাছে ধরে রাখুন। এতে শিশুর আরাম লাগতে পারে।

২। পেটের হালকা ম্যাসাজ:

হালকা গরম তেল দিয়ে শিশুর পেটে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে গ্যাসের সমস্যা থাকলে তা উপশম হতে পারে।

৩। গরম সেঁক দিন:

গরম পানিতে একটি কাপড় ভিজিয়ে পেটের উপরে দিয়ে কয়েক মিনিট ধরে রাখুন। এটি ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৪। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান:

বুকের দুধ খাওয়ালে পেটে থাকা গ্যাস সহজে বেরিয়ে আসতে পারে এবং শিশুর আরাম হয়।

৫। ডাক্তারের পরামর্শ নিন:

যদি ব্যথা অনেক বেশি হয় বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয় (যেমন বমি, জ্বর, কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেট ফুলে যাওয়া), তবে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৬। শিশুর সঠিক ডায়েট মেনে চলুন: যদি নবজাতককে

ফর্মুলা দুধ খাওয়ানো হয়, তবে সেটির সঠিক পরিমাণ এবং প্রস্তুতি সম্পর্কে নিশ্চিত হন। অনেক সময় ফর্মুলা দুধ সঠিকভাবে না মেশালে শিশুর পেটে গ্যাস বা ব্যথা হতে পারে।

৭। ডাক্তারকে শিশুর দুধ পরিবর্তনের পরামর্শ নিন:

অনেক সময় কোনো নির্দিষ্ট দুধ শিশুর পেটে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এমন ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে দুধ পরিবর্তন করা উচিত।

৮। শিশুর গ্যাস বের করার চেষ্টা করুন:

খাওয়ানোর পর শিশুকে কাঁধে নিয়ে পিঠে আলতো করে চাপড় দিয়ে বা পেটে হালকা করে ঘষে গ্যাস বের করতে সাহায্য করুন।

৯। গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করুন:

শিশুর ব্যথা কীভাবে হচ্ছে, কতক্ষণ ধরে হচ্ছে, এবং কী করলে ব্যথা কমছে বা বাড়ছে তা লক্ষ করুন। এটি ডাক্তারকে সঠিকভাবে সমস্যা বোঝাতে সহায়ক হবে।

১০। পেটের ব্যথার কারণ বের করার চেষ্টা করুন:

শিশুর খাবার, পরিবেশ, বা অন্যান্য কারণগুলো খেয়াল করুন। অনেক সময় খাবার হজমের সমস্যা বা সঠিকভাবে বায়ু বের না হলে ব্যথা হতে পারে।

সতর্ক থাকুন এবং অতিরিক্ত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নবজাতক শিশুর যেকোনো সমস্যাকে অবহেলা করা উচিত নয়, কারণ এটি দ্রুত জটিল হয়ে উঠতে পারে।

বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় :

বাচ্চাদের পেট ব্যথা কমানোর জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় নিচে দেওয়া হলো:

১। গরম পানির সেঁক:

একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পেটের উপরে হালকা সেঁক দিন। এটি পেটের পেশি শিথিল করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

২। জিরা পানি:

১ চা চামচ জিরা এক গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। জিরা হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস কমায়।

৩। আদা ও মধু :

সামান্য আদার রসের সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। এটি পেট ব্যথা কমাতে কার্যকর।

৪। তুলসী পাতা:

কিছু তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে দিন বা তুলসী পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি বাচ্চাকে খাওয়ান। এটি পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৫। গরম মসলা চা:

দারুচিনি, এলাচ এবং লবঙ্গ একসাথে পানিতে ফুটিয়ে চা তৈরি করুন। সামান্য মধু মিশিয়ে এটি খাওয়াতে পারেন।

৬। হিং (হিংগুল):

এক চিমটি হিং এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে বাচ্চার পেটে হালকা করে ম্যাসাজ করুন। এটি গ্যাস এবং পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৭। পুদিনা পাতা:

পুদিনা পাতা পেস্ট করে সামান্য পানি মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। এটি পেটের পেশি শিথিল করে এবং গ্যাস কমায়।

৮। লেবুর রস:

লেবুর রসের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান। এটি হজমে সহায়ক এবং পেটের ব্যথা কমাতে কার্যকর।

৯। আপেল সিডার ভিনেগার:

এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। এটি হজমে সহায়তা করে এবং পেট ব্যথা কমায়।

১০। ছোট এলাচ:

ছোট এলাচ ভেঙে বাচ্চাকে চিবিয়ে খাওয়াতে পারেন বা গরম পানিতে ফুটিয়ে এলাচের চা তৈরি করে পান করাতে পারেন। এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেট ব্যথা উপশমে কার্যকর।

এগুলো সবই প্রাথমিক ঘরোয়া উপায়, তবে যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

শেষ কথা: নবজাতক শিশুর পেটে ব্যথা হলে করণীয়

পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা নবজাতক শিশুর পেটে ব্যথা হলে করণীয় জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না নবজাতক শিশুর পেটে ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে পরলেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url