গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হলে করণীয় - কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হলে করণীয় - কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হলে করণীয় - কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হলে করণীয় - কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হলে করণীয় - কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে |
এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হলে করণীয় - কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বেশি হলে করণীয়
গর্ভাবস্থায় চলাকালীন একজন মায়ের ওজন হওয়া ৯ থেকে ১২ কেজি ওজনের স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে এর চেয়েও বেশি হয়ে যায়। ২০ থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত ওজন বাড়তে দেখা গিয়েছে কোন কোন গর্ভাবস্থা মায়ে দের। তাদের জন্য প্রসবের সময় বাচ্চা ও মায়ের উভয়ের ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই এ সময় নিজের ওজন বৃদ্ধি না করে বাচ্চার সঠিক ওজন বাড়ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বেশি হলে যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা উচিত সেগুলো হল
১চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
*এ সময় নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে ও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে বাচ্চা সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে আছে কিনা তা জানার জন্য।
*এ সময় ডাক্তাররা আপনার শিশু সঠিক ওজন ঠিক আছে কিনা সে জন্য পরীক্ষা দেবে আর সে পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার বাচ্চার ওজন কত।
২ খাদ্যাভ্যাস
এ সময় পুষ্টিকর খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে ভিটামিন, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।
*অতিরিক্ত চিনি, চর্বি যে খাদ্যগুলো ফ্যাট জাতীয় খাদ্য সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
৩ শারীরিক সক্রিয়তা
*এ সময় হালকা ব্যায়াম, চলাফেরা সঠিক নিয়মে ইত্যাদি আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকবে। এতে আপনার বাচ্চাও সুস্থ থাকবে।
*এ সময় ডাক্তার দ্বারা অনুমতি যে ব্যায়ামগুলো সেগুলো করার চেষ্টা করবেন।
৪ জটিলতা সম্পর্কে সচেতনতা
*গর্ভাবস্থায় চলাকালীন যদি শরীরে কোন রোগ থাকে যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি এগুলো কন্ট্রোলে রাখা উচিত।
*এ সময় মানসিক চাপ কমানোর জন্য নানা রকম ব্যায়াম করা উচিত।
৫ শরীরের প্রতি যত্ন
*এ সময় সব সময় নিজের খেয়াল রাখবেন। সব সময় শরীরের পরিবর্তনগুলোর পর্যবেক্ষণ করবেন। অস্বাভাবিক লক্ষণ গুলো যদি দেখা যায় দ্রুত ডক্টরের চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
এগুলো নিয়ম মেনে চলে গর্ভাবস্থায় আপনি এবং আপনার শিশু দুজনের সুস্থ থাকবেন। বেশি প্রয়োজন হলে ডাক্তারের অনুসরণ হবেন।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হলে করণীয় :
গর্ভাবস্থায় সময়ে মায়ের যদি খাদ্য তালিকার পুষ্টিকর খাবার এর পরিমাণ কম হয় তাহলে গর্ভের শিশু অপুষ্টিতে ভোগে । এতে করে গর্ভে থাকা শিশু ওজন কম হয়, উচ্চতা কম হয়, শরীরের গঠন এর সমস্যা ও হয়ে থাকে। আবার জন্মের সময় যদি শিশুর ওজন কম হয় তাহলে নানারকম রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। এই অপুষ্টির জন্য শিশু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন শিশু।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হলে যে পদক্ষেপ গুলো নেওয়া উচিত সেগুলো হল
ডাক্তারের পরামর্শ : গর্ভাবস্থায় সময়ে প্রথমে আপনাকে একজন গাইনি ডাক্তার দেখানো উচিত। তারপর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পরামর্শ নিয়ে চলা উচিত। তারা আপনার অবস্থার উপর ভিত্তি করে আপনাকে নির্দেশনা দেবে ও চিকিৎসা দেবে।
*পুষ্টিকর খাদ্য : এ সময় বাচ্চার ওজন বাড়ানোর জন্য ও নিজের শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পুষ্টিকর খাদ্য প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। একটা সময় বেশি বেশি প্রোটিন,সবজি, ফল , দুগ্ধ জাত খাবার ইত্যাদি খেতে হবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার শিশুর বেশি ও টিস্যু গঠন করতে সাহায্য করে থাকে। ফলমূল শিশুর বৃদ্ধি বিকাশে সহায়তা করে। এছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলগুলো খেতে পারেন এ সময়। দুগ্ধ জাত খাদ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা শিশুর হাড্ডি শক্ত করতে সাহায্য করে থাকে।
*আইরন ফলিক এসিড : গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে আইরন ও ফলিক এসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। রক্তশূন্যতার কারণে এ সময় শিশুর ওজন ও শরীর বিকাশ হতে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই এ সময় আইরন ও ফলিক এসিড জাতীয় খাদ্য খাওয়া উচিত। যেমন পাঁচমিশালী ডাল, কলিজা, পালং শাক ইত্যাদি।
*পানি পান : এ সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও তার পাশাপাশি পুষ্টি শোষণ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে থাকে। তাই এ সময় গর্ভস্থ মায়ের ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
*স্ট্রেস কমানো : এ সময় মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে। মানসিক চাপের কারণে শিশুর ক্ষতি হতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমানোর জন্য প্রতিদিন যোগ ব্যায়াম মেডিটেশন ইত্যাদি করা যেতে পারে।
*নিয়মিত চেকআপ :গর্ভাবস্থার সময়ে নিয়মিত চেকআপ করানো উচিত এতে আপনার এবং আপনার শিশু স্বাস্থ্য কেমন আছে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
*অতিরিক্ত ভিটামিন :শিশুর ওজন বাড়ানোর জন্য এই সময় ভিটামিন জাতীয় খাদ্য খেতে হবে। ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হবে। ভিটামিন, ফেলিক অ্যাসিড খেতে হবে প্রতিদিন।
ওপরের নির্দেশনা অনুযায়ী চললে আপনি এবং আপনার শিশু দুজনের ভালো থাকবেন। শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে ওপরের নির্দেশনা গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকবে। তাই এই নিয়মগুলো আপনি অনুসরণ করতে পারেন।
কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে
কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে নিচে আলোচনা করা হল
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বাড়ানোর জন্য এ সময় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এ সময় প্রোটিন যুক্ত খাবার গুলো খেলে শিশু ওজন বাড়ে ও টিস্যু গঠন করতে গুরুত্বপূর্ণ। মুরগি, ডিম, মাছ, বাদাম, মটরশুটি খেজুর ইত্যাদি খাদ্য তালিকা রাখতে হবে প্রতিদিন। এছাড়াও বিভিন্ন শাকসবজি দিয়ে নরম খিচুড়ি ও খেলে বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পায়।
গর্ভাবস্থায় গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর জন্য যে খাদ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে সেগুলো হল
*দুধ ও দুগ্ধ জাত খাদ্য : গর্ভাবস্থায় গর্ভের বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি করার জন্য দুধ ও দুগ্ধ জাত খাদ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সরবরাহ করে থাকে দুধ ও দুগ্ধ জাত খাদ্য।
*গরুর মাংস ও মুরগির মাংস : গরুর মাংস ও মুরগির মাংসের রয়েছে প্রোটিন ও আয়রন।এ সময় গরুর মাংস মুরগির মাংস খেলে প্রোটিন ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে থাকবে।
*ডিম : ভিটামিন ডি এর উৎস হলো ডিম। তাই এ সময় একটা করে ডিম খেলে ও ভিটামিন ও ডি সাহায্য করে থাকবে বাচ্চার জন্য।
*গাজর ও সবুজ শাকসবজি :গর্ভাবস্থায় গাজর ও শাকসবজি ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
*বাদাম ও শুকনো ফল :বাদাম শক্তি বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং এনার্জির জন্য বাদাম ও শুকনো ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তাই বলা হয় এই সময় গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর জন্য সঠিক পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ
গর্ভাবস্থায় সময়ে গর্ভাবস্থা মায়ের পর্যাপ্ত সুষম খাবারের অভাবে মায়ের এবং বাচ্চার দুজনেরই ওজন কম হয়। সুষম খাবার অভাবের কারণে বাচ্চার পেটের মধ্যে বৃদ্ধি পায় না। এতে করে কম ওজনের বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে।
গর্ভাবস্থায় চলাকালীন বেশ কয়েকটি কারণে বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ রয়েছে সেগুলো হলো
পুষ্টিহীনতা : গর্ভাবস্থায় মায়ের পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি কর খাদ্য খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন না রাখলে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হয়ে থাকে। এ সময় প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল এর অভাব বাচ্চার বৃদ্ধি, শরীর গঠন করতে ও ওজন বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
*অবহেলা ও অকাল গর্ভ অবস্থা : গর্ভাবস্থায় সময়কালীন আপনি যদি বুঝতে না পারেন বা বাচ্চা হয়ে যায় সময়ের আগেই তাহলে বাচ্চার ওজন কম হয়।
*মায়ের স্বাস্থ্য সমস্যা : গর্ভাবস্থায় মায়ের যদি কোন রোগ থাকে তাহলে বাচ্চার ওজন কম হয়। যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নানারকম স্বাস্থ্য সমস্যা ইত্যাদি কারণে।
*মানসিক চাপ : গর্ভাবস্থায় চলাকালীন যদি কোন চিন্তা ভাবনা বা মানসিক চাপের মধ্যে ভোগেন তাহলে বাচ্চার বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে থাকে।
*জিনগত কারণ :অনেক সময় দেখা যায় পরিবারের কারনেই বাচ্চার ওজন কম হয়।
*শারীরিক অসুস্থতা :গর্ভাবস্থায় চলাকালীন গর্ভাবস্থায় মায়ের যদি শারীরিক কোন সমস্যা থাকে যেমন থাইরয়েডের সমস্যা তাহলে বাচ্চার বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে থাকে।
তাই গর্ভাবস্থায় চলাকালীন বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি করার জন্য ও শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আগেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শেষ কথা: গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হলে করণীয় - কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে
পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হলে করণীয় - কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হলে করণীয় - কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে সম্পর্কে জানতে পরলেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url